চায়ের ইতিহাস বাংলাদেশের জন্য তথা ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য বেশ মজার। বৃটিশরা নাকি বাঙ্গালীদের বীনামূল্যে চা খাইয়ে অভ্যাসে পরিণত করেছে। যাই হোক এখন বাঙ্গালীর এক বেলা চা না খেলে যেন হয়ইনা।
ইংরেজীতে Tea বা চা বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকারী ফসল। উৎপাদনের দিক থেকে চা অর্থনৈতিভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে। ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই চা শিল্প চলে আসছে। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চা ব্যবসা শুরু করে ১৮৪০ সালে চট্টগ্রামে। চা শিল্পের জন্মস্থান বলতে মূলত চট্টগ্রামকেই বুঝি।
বাংলাদেশে সাধারণত উত্তর এবং পূর্বাঞ্চলীয় জেলা সমূহে চা উৎপাদন হয়ে থাকে। যার কারণ হলো উচ্চভূমি, উষ্ণ জলবায়ু, আর্দ্র এবং অতি বৃষ্টি প্রবণ এলাকা। উন্নতমানের চা উৎপাদনে এ এলাকাসমূহ সাধারণত মোক্ষম পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়।
১৮৫৭ সালে সিলেটের মালনীছড়া চা বাগানের মাধ্যমেই বাণিজ্যিকভাবে প্রথম চা চাষ শুরু হয়।
বর্তমানে, বাংলাদেশে ২০৬ টি চা বাগান রয়েছে যার মাঝে ১৬৮টি বাণিজ্যিক চা এস্টেট রয়েছে। এই চা বাগান প্রত্য ও পরোক্ষভাবে ৪০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলাদেশে ২০৬ টি চা বাগান থাকলেও বর্তমানে ১৬৭টি নিবন্ধিত চা বাগান রয়েছে। এর মধ্যে থেকে প্রথম সারির বা প্রধান ২০টি চা বাগান সম্পর্কে জানা যাক-
প্রথম-
খৈয়াছড়া চা বাগানে দেশের সবচেয়ে ভালো মানের চা উৎপাদিত হয়। এটিই বাংলাদেশের চা বাগানের তালিকায় প্রখম বা শীর্ষস্থানটি বরাবরের মতো ধরে রেখেছে। এ বাগানটি ডালু চা বাগান নামেই পরিচিত। খৈয়াছড়া বাগান সর্বোচ্চ ২৫৩.৪০ টাকা কেজি দরে ৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৯০ কেজি চা নিলামে বিক্রি করেছে ২০২০ সালের হিসাবে। এ বাগানটি ব্র্যাক পরিচালিত। এছাড়াও ব্র্যাকের পরিচালনায় আরও দুটি চা বাগান রয়েছে।
দ্বিতীয়-
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মধুপুর বাগান। হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা অবস্থিত এ বাগান ২০২০ সালে ২৪৬.৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে ১২ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩০ কেজি চা।
তিৃতীয়-
দারাগাঁও চা বাগানটি তালিকার তৃতীয় অবস্থানে আছে। চুনারুঘাট,হবিগঞ্জে অবস্থিত চা বাগানটি ২০২০ সালে চা বিক্রি করেছে ২৩৮.৯২ টাকা কেজি দরে ৭ লাখ ৪১ হাজার ৪২৯ কেজি ।
চতুর্থ-
চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে আমরাইল চা বাগান। এটি চা বিক্রি করেছে ২৩১.৬৮ টাকা কেজি দরে ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮১৪ কেজি।
পঞ্চম-
পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে এইচআরসি গ্রুপের ক্লিভডন বাগান। এর অবস্থান কুলাউড়া, মৌলভীবাজার জেলায়। ৬ লাখ ১৩ হাজার ৩৮৭ কেজি চা ২৩০.৯৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে ২০২০ সালে।
বিস্তারিত আসছে…