ডায়াবেটিস একটি জটিল রোগ। এতে আক্রান্ত হলে গোটা জীবনই রোগটি বহন করতে হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হয়। এই পরিবর্তনের মাধ্যমেই ভালো থাকার অভ্যাস তৈরির করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে জিনগত কারণেও ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। পূর্বে বাবা-মা কারো ডায়াবেটিস হয়ে থাকলে বংশানুক্রমে সন্তানের মধ্যেও এই রোগটি বাসা বাঁধতে পারে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে ইনসুলিন হরমোন। এই হরমোন শরীরে কম থাকলে বা কাজ না করতে পারলে দেখা দেবে মারাত্মক সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে রক্তে শর্করার মাত্রা দিনকে দিন বাড়তে থাকে। আর এই অবস্থার নামই ডায়াবিটিস।
ডায়াবেটিস রোগটিকে ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে কিডনি, চোখ, স্নায়ু, হার্টের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাছাড়া শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা জখম হলে তা ঠিক হতে বেশ সময় লাগে ডায়াবেটিসের কারণে। তাই চিকিৎসকরা ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ (Diabetes Control) করতে বলেন। ভালো খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেই কেবল সুস্থ থাকা যায়।
অনেক বছর ধরেই বিজ্ঞানীরা ডায়াবেটিস রোগটির চিকিৎসার আবিষ্কারের জন্য চেষ্টা করছেন। নিত্যনতুন গবেষণা চলছে এই রোগকে নিয়ে। বের হচ্ছে নতুন নতুন ওষুধ। তবে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে এনসিবিআই (NCBI- National Center for Biotechnology Information) তাদের এক রিপোর্টে বলছে, ইনসুলিন প্ল্যান্ট নামে একটি উদ্ভিদ সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী।
ইনসুলিন প্ল্যান্ট কী?
COSTUS IGNUS বা ইনসুলিন প্ল্যান্ট গাছটি কোস্টাসিয়া গোষ্ঠীর। এই গাছটি আপনার সুগার কমাতে পারে বলেই বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। এই গাছটি সবচেয়ে বেশি এশিয়া মহাদেশে পাওয়া যায়। গাছের পাতায় আয়রন, প্রোটিন, ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ইনসুলিন প্ল্যান্ট গাছটি রক্তে সুগার কমাতেও পারে।
রক্তে সুগার কমাতে পারে গাছটি
ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে ইনসুলিন গাছের পাতাতেই (Insulin Plant Leaves) হতে পারে সমস্যার সমাধান। ইনসুলিন গাছের পাতায় এমন কিছু উপাদান আছে যা আপনার সুগার কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও গাছটির পাতায় আয়রন, প্রোটিন, ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা আপনার শরীর ভালো রাখতে পারে। সুগার কমানোর পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে ইনসুলিন গাছের পাতা প্রতিদিনই খেতে পারেন।
সুগার কী ভাবে কমায়?
মনে প্রশ্ন আসছে পারে যে এই গাছটি কী ভাবে সুগার কমাতে পারে। গাছটির পাতায় রয়েছে কোরোসোলিক অ্যাসিড, এছাড়াও অন্যান্য উপাদান তো রয়েছেই। এর প্রতিটি যৌগ একত্রে মিলে অগ্ন্যাশয়ের উপর কাজ করে। এই যৌগগুলো প্যাংক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, এর ফলে রক্তে গ্লুকোজের (Glucose) মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়।
ইনসুলিন প্ল্যান্টের পুষ্টিকর উপাদান
এই গাছের পাতায় রয়েছে নানা উপকারী উপাদান। গাছটির পাতায় প্রোটিন থেকে শুরু করে টেরপেয়নয়েডস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ফ্ল্যাভনয়েডস, আয়রন, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, কোরোসোলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। আর এই প্রতিটি পুষ্টিগুণই শরীরকে ভালো রাখার জন্য যথেষ্ট।
যে ভাবে ব্যবহার করবেন?
আপনি প্রতিদিনই একটি ইনসুলিন প্ল্যান্টের পাতা চিবিয়ে খেয়ে পারেন এর ফলে আপনার সুগারের মাত্রা কমে যাবে। এভাবে ১ মাস খেতে পারলে উপকার পাবেন। আপনি চাইলে এই পাতা সরাসরি না খেয়ে পাতাটিকে পাউডার হিসাবেও খেতে পারেন। এক্ষেত্রে এই পাওডার এক চামচ করে প্রতিদিন খেতে পারেন। এটিকে ধনিয়া পাতার বিকল্প হিসেবেও সালাদে ব্যবহার করতে পারেন।
সতর্কতা
- পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যেমন পেট খারাপ, ডায়রিয়া, মাথা ঘোরা
- রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি ইনসুলিন গ্রহণ করেন
- প্রতিদিন একটির বেশি পাতা চিবিয়ে খেতে যাবেন না। দেখা দিতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
- সকল ধরনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করুন।
- সঠিকভাবে গাছ নির্ণয় করুন। ইনসুলিন প্ল্যান্টের মতো দেখতে জঙ্গলে কিছু গাছ পাওয়া যায় যা ভুলেও খাবেন না।
এই গাছটি কম আলোতেও বেঁচে থাকতে পারে, তাই আপনার ঘর কিংবা অফিসের বারান্দায় টবে রোপণ করতে পারবেন। তাই জীবন রক্ষা এবং ঘর সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন এই ইনসুলিন প্ল্যান্ট।
This site is incredible. The radiant material shows the administrator’s enthusiasm. I’m dumbfounded and envision more such astonishing presents.
This resource is incredible. The splendid data shows the distributer’s earnestness. I’m dumbfounded and envision additional such amazing posts.