ভ্রমণ পিপাসুদের,প্রিয় গন্তব্য এখন সাজেক ভ্যালী কিন্তু কেন?
এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে মনমুগ্ধকর ভ্রমণের গন্তব্য সাজেক ভ্যালি, এখন এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।পার্বত্য চট্টগ্রামের, রাঙ্গামাটি জেলায় এর অবস্থান। উপত্যকাটি পাহাড়, বন দিয়ে বেষ্টিত এবং শ্বাসরুদ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভান্ডার সাজেক ভ্যালী। প্রকৃতিকে ভালোবাসে বলেই মানুষ প্রকৃতির সংস্পর্শে আসতে চায়। প্রকৃতিও তার সৌন্দর্যের অপরূপ ভাণ্ডার মেলে দিয়ে কাছে টানে।
এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার বর্গকিলোমিটারের ব–দ্বীপে পরিচিত অপরিচিত দর্শনীয় স্থানের অভাব নেই। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক নীলা ভূমি। এদেশে রয়েছে পাহাড়, সাগর, মাঠ, নদী– যা এক অপূর্ব সৌন্দর্য। পাহাড়, জলপ্রপাত, বনভূমি, নদী এদেশকে করে তুলেছে অপূর্ব রূপময়।
জানা যাক তাহলে SAJEK VALLEY সম্পর্কে ।
সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত সাজেক ইউনিয়নের একটি বিখ্যাত পর্যটন স্থল। রাঙ্গামাটি জেলার সর্বউত্তরে মিজোরাম সিমান্তে অবস্থিত। সাজেক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন, যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল। এর উত্তরে ভারতের ত্রিপুড়া, দক্ষিণে রাঙ্গামাটির লংগদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম ও পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ১৮০০ ফুট উচ্চতার সাজেক ভ্যালি যেন এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভান্ডার। প্রকৃতি এখানে সকাল বিকাল রঙ বদলায়। চারপাশে সারি, সারি পাহাড় আর তুলোর মতো মেঘ, এরই মধ্যে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে রয়েছে নৈস্বর্গিক সাজেক ভ্যালি।
রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও এর যাতায়াত সুবিধা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা দিয়ে। খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। আর দীঘিনালা উপজেলা থেকে প্রায় ৪৯ কিলোমিটার। রাঙামাটি থেকে নৌপথেও সাজেক ভ্যালি যাওয়া যায়।
পর্যটকরা সাজেক উপত্যকায়র নির্মল ও মনোরম পরিবেশ ভ্রমণ পিপাসুদের আকৃষ্ট করে । এই অঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসীদের সংস্কৃতি, ভাষা, জীবনযাত্রা, মূলত মারমা উপজাতিদের অভিজ্ঞতার জন্য আকৃষ্ট করে। উপত্যকাটি অত্যাশ্চর্য প্যানোরামিক দৃশ্য অফার করে, বিশেষকরে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময়, এটি প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে এবং ফটোগ্রাফারদের জন্য একটি প্রিয় গন্তব্য করে তোলে।
সাজেক উপত্যকার ক্রিয়া–কলাপগুলির মধ্যে প্রায়শই ট্রেকিং, হাইকিং এবং স্থানীয় জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানতে কাছাকাছি গ্রামগুলি অন্বেষণ করার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। এই অঞ্চলের শীতল জলবায়ু এবং শহরের জীবনের তাড়াহুড়ো থেকে বাঁচার সুযোগ, অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তায় অনেক বেশি।
মনে রাখবেন যে সাজেক ভ্যালি বা অন্য কোনো গন্তব্যে ভ্রমণের পরিকল্পনা করার আগে সর্বশেষ ভ্রমণ তথ্য এবং যেকোনো বিধিনিষেধ বা নির্দেশিকা থাকলে সে সম্পকে যেনে নেওয়া উচিত।
আরও দেখুন
ফিরে চলুন জমিদার আমলে, জানুন তাজহাট রাজবাড়ির নানান ইতিহাস