fbpx
Thursday, December 12, 2024
spot_imgspot_img
HomeEditor Picksফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সেরা ১০ টি স্কিল

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সেরা ১০ টি স্কিল

আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে মানুষ নিজেকে সবকিছুর সাথে খাপ-খাইয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর প্রযুক্তির মাধ্যমেই সকল কাজ করার প্রচেষ্টা চলছে। আর যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে, প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে সকলেরই কোন না কোন বিষয়ের উপর অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। 

কয়েক বছর আগেও ফ্রিল্যান্সিং সবার কাছে তেমন পরিচিত ছিলোনা। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল যুগে ফ্রিল্যান্সিং এর  চাহিদা, পেশাগত চাকরির সাথে পাল্লা দিয়ে শুধু বাড়ছেই না, বরং একটি জনপ্রিয় ক্যারিয়ার হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, এই পেশার উপর।

ফ্রিল্যান্সিং জনপ্রিয় হওয়ার কারণ

  • এর জন্য নির্দিষ্ট কোন জায়গা বা অফিস লাগে না।
  • ঘরে বসেই কাজ করা যায়।
  • এর কোন ধরাবাঁধা সময় নেই।

যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে ভাবছেন কোথা হতে বা কীভাবে শুরু করবো? আর এক্ষেত্রে নিশ্চয়ই, সবচেয়ে সহজ যে কাজ তা দিয়েই শুরু করবেন। তবে সহজ বা কঠিন যেটাই হোক, স্কিল ছাড়া কোন কাজই সম্ভব না। 

আজকের আলোচনায় আমরা স্কিল নিয়েই জানবো। যেগুলো একজন অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সা বা অনভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সা সবার জন্যই সহায়ক হবে। শুধু তাই নয়, আপনাকে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসাবে গড়ে উঠতেও সাহায্য করবে।

তাহলে কথা না বাড়িয়ে আলোচনা শুরু করা যাক—

  • ডাটা অ্যানালাইসিস
  • ডিজিটাল মার্কেটিং 
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট 
  • ইউ-এক্স ইউ-আই ডিজাইন 
  • সাইবার সিকিউরিটি   
  • আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এন্ড এন্ড মেশিন লার্নিং 
  • ভিডিও প্রোডাকশন এন্ড এডিটিং 
  • ডিজিটাল প্রজেক্ট ম্যানেজার  
  • ই–কমার্স এক্সপার্টি 
  • কনটেন্ট ক্রিয়েশন এন্ড কপি-রাইটিং 

ডাটা অ্যানালাইসিস 

এই লিস্টের এক নম্বরে রয়েছে ডাটা অ্যানালাইসিস। সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কোন ডাটাকে পরিবর্তন বা রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে ডাটা অ্যানালাইসিস বলে। ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত উন্নয়নের জন্য অতীতের ভুল আর ভবিষ্যৎ এর স্বপ্ন দুই মিলিয়ে, এই পরিস্থিতিতে কি করলে বর্তমান ও  ভবিষ্যৎ ভালো হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াটাকেই ডাটা অ্যানালাইসিস বলে। 

বর্তমান সময়টাকে বলা চলে, ডাটা যুগ বা ডাটার স্বর্ণযুগ। যে প্রতিষ্ঠানের কাছে যত বেশি ডাটা আছে সে প্রতিষ্ঠানটি তত বেশি শক্তিশালী। Google ও ফেসবুকেআমরা যাকিছু দেখি সব ডাটার উপর নির্ভর করে বানানো হয়। ইন্টারনেটেও যা কিছু চলে তার সবকিছুই ডাটার উপর ভিত্তি করে। ফেসবুক এবং google এর কাছে প্রায় প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ব্যবহৃত ডাটা সংরক্ষিত আছে। 

আপনি যদি গুগলে ঘড়ি দিয়ে সার্চ দেন, কিছুক্ষণ পর ফেসবুকে নোটিফিকেশন চেক করতে  গিয়ে দেখলেন কোন একটি ঘড়ির অ্যাড দেখাচ্ছে বা ঘড়ি বিক্রি করে এমন কোন পেজ সাজেস্ট করছে। চিন্তা করে দেখুন ফেসবুক আপনার মাইন্ড রিড করলো কীভাবে, যে আপনি ঘড়ি খুঁজছেন? আসলে, ফেসবুক আপনার সার্চ করা ডাটাগুলোকে কিনে নিয়ে তাদের অ্যালগরিদম দিয়ে এই কাজটি করেছে। 

facebook এবং google ডাটা অ্যানালাইসিস করে আপনার প্রোফাইলের জন্য বিশেষভাবে এক ক্যাম্পেইন চালু করে। আর অনলাইনে আমরা যে সকল এড দেখি, তার উপর ডাটা অ্যানালাইসিস করে নতুন বিজ্ঞাপন তৈরি করা হয়। এসব কাজ করে থাকেন একজন ডাটা এনালিস্ট। হয় তো ভাবছেন, ডাটা এনালিস্টের ক্যারিয়ার আবার কি রকম? ডাটা এনালিস্ট এর ক্যারিয়ার কেমন তা জানার আগে আপনাকে জানতে হবে এটি কোন কোন  ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত হয়, তা নিচে দেওয়া হল— 

  1. ব্যবসা  
  2. চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য 
  3. গবেষণা প্রতিষ্ঠান 
  4. গোয়েন্দা সংস্থা ইত্যাদি 

একজন ডাটা এনালিস্ট এই সকল  ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারবেন। এই ধরনের ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিটি পথ উচ্চ পর্যায়ের হয়ে থাকে। এর কারণ এনালিস্টেড করা ডেটা বা তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কোন কারণে যদি ডেটা বা তথ্য সঠিক না হয় তাহলে তাদের অনেক অর্থ অপচয় হবে। 

একজন ডাটা এনালিস্ট এর বেতন আমেরিকা সহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আধুনিক বিশ্বে যে হারে ডাটার চাহিদা বাড়ছে, যদি ডাটা এনালিস্টের স্কিল থাকে তবে আপনার জন্য একটি ভালো সুযোগ হতে পারে। ডাটা অ্যানালাইসিসের কাজের বেতন এবং চাহিদা দিনকে দিন বাড়তেই থাকবে। তাই বলা যায় যে, একজন ডাটা এনালিস্টের ক্যারিয়ার অনেক উজ্জ্বল। 

ডিজিটাল মার্কেটিং  

ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে এমন মানুষের কাছে পণ্যের জানান দেওয়ার একটি পন্থা বা পদ্ধতি। মার্কেটিং এর মূল কাজ মানুষের নিকট পণ্য সঠিক সময়ে পৌঁছে দেওয়া বা পণ্য সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানানো। বর্তমান সময়ে মানুষ বেশিরভাগ সময় ব্যয় করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বা অনলাইনে। করোনার সময়ে এর স্থায়িত্ব কয়েক গুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশাল পরিমাণের এই অডিয়েন্স এর কাছে আপনার পণ্য সম্পর্কে তুলে ধরার সহজ এবং কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। 

আরো সহজ করে বলতে গেলে, ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর একটি দিক। যেটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে বা সাহায্যে পরিচালনা করা হয়। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক ধরনের হয়। যেমন–

  1. অনলাইন মার্কেটিং 
  2. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন 
  3. কনটেন্ট মার্কেটিং 
  4. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং 
  5. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 
  6. ই-মেইল মার্কেটিং 
  7. অফলাইন মার্কেটিং 
  8. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং 
  9. টেলিভিশন মার্কেটিং 
  10. ফোন মার্কেটিং 
  11. রেডিও মার্কেটিং 

এগুলোর পাশাপাশি আরো বেশ কয়েক ধরনের কাজ বা সেক্টর আছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর। 

মানুষ যে হারে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভর করছে, এতে করে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ডিমান্ড আগামীতেও থাকবে আকাশচুম্বে। 

আমেরিকাতে একজন ডিজিটাল মার্কেটারের মান্থলি স্যালারি প্রায় ৪৮৬২ ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকার বেশি। পাশের দেশ ইন্ডিয়াতে একজন ডিজিটাল মার্কেটারের মান্থলি স্যালারি গড়ে 15 থেকে ৮৮ হাজার রুপি। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর দ্বার, সম্ভাবনাময় ও সুবিশাল। আপনি চাইলেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন বা কোন সংস্থার জন্য কাজ করতে পারেন। আবার বড় কোন মিডিয়ার জন্যেও কাজ করতে পারবেন। তাছাড়া নির্বাচনী প্রচার করেও আয় করতে পারবেন। এটি একটি সম্ভাবনাময় সেক্টর। 

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট 

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য যে সকল কাজ করতে হয় তা একজন ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভলপার করে থাকেন। একজন ডেভলপারের কাজ হল একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা থেকে শুরু করে ইন্টারনেটে লাইভ করা থেকে এর সিকিউরিটি প্রদান করা পর্যন্ত। একজন ডেভলপার তার সুনির্দিষ্ট কাজ এবং দায়িত্বের মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট দাঁড় করায়। ক্লায়েন্টের চাহিদার উপর নির্ভর করে একজন ডেভলপার ওয়েবসাইট তৈরি করে। 

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের একটি বড় অংশ ক্রমাগত আপডেটের সাথে সাইডের বাক্যগুলো পর্যবেক্ষণ করে এবং ফিক্সিংয়ের চারদিকে ঘুরতে থাকে। ডেভলপার এই সমস্যাগুলো নিয়মিত সমাধান করে এবং সাইটগুলো যাতে কোনোরকম বাস ছাড়া সহজে চলতে পারে তা নিশ্চিত করে। 

ওয়েব ডেভলপমেন্টকে কয় ভাবে বিশ্লেষণ করা হয়। 

  1. ফ্রন্ট এন্ড 
  2. ব্যাক এন্ড 
  3. ফুল স্ট্যাক 

1. ফ্রন্ট এন্ড 

আমরা যখন একটি ওয়েবসাইটে ভিজিট করি, তখন ওয়েবসাইটটির প্রথম পেজে আমরা কিছু নকশা, লেআউট, ছবি, বা লেখা এর সাথে UI (ইউজার ইন্টারফেস) UX (ইউজার এক্সপেরিয়েন্স) ডিজাইন দেখতে পাই। ওয়েবসাইটের ফ্রন্ট এন্ড এটিকেই সাধারণত বলে। ভিজিটরদের আকর্ষণ ধারে রাখার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

2. ব্যাক এন্ড 

সার্ভার সাইডের development করাকে ব্যাট এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলে। অন্যভাবে বলা যায়, ওয়েবসাইটের ফাংশনাল কাজ করার জন্য সাইটের ভেতরের অংশে যে কাজ করা হয়। যেমন- ওয়েব ডিজাইন ও থিম ডিজাইন, দেট অ্যান্ড সার্ভার, ডাটাবেজ এবং অ্যাপ্লিকেশন লজিং দ্বারা গঠিত ওয়েবসাইট সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাক এন্ড ডিজাইন অপরিহার্য। 

3. ফুল স্ট্যাক 

একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করা থেকে ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজ করার প্রক্রিয়াই হল ফুল স্ট্যাক development। সাধারণভাবে বলতে গেলে, ওয়েব ডিজাইন, ফ্রন্ট এন্ড, বেড এন্ড, ওয়েবসাইটের সার্ভার, গঠন ও কাঠামো তৈরি করা থেকে সকল কাজই একজন ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার করে থাকে। 

ডিবাগিং, ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সিকিউরিটি সবকিছুই একজন ফুলস্টপ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজ করে থাকেন। তাছাড়া ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলো একজন ফুলস্টপ ওয়েব ডেভলপার সম্পাদন করে থাকেন। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে হলে আপনাকে মূলত যে জিনিসগুলো জানতে হবে সেগুলো হল— 

  1. HTML 
  2. CSS 
  3. Javascript 
  4. Git 
  5. WordPress 
  6. Seo 

আপনাকে এর পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় জানতে হবে। 

কোন কাজ করার আগে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা হলো বুদ্ধিমানের কাজ। সেজন্য আমরা বলতে পারি, একজন দক্ষ ডেভলপার হতে চাইলে আপনাকে ওয়েব ডেভেলপমেন্টকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারবেন। বর্তমানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে মিনিটে প্রায় ৫৭১ টি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। এই সংখ্যা দিনে দিনে বাড়তেই থাকবে। শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কর্মসংস্থানের গ্রুপ করছে ৩০.৩ শতাংশ হারে। 

UI/UX (ইউ এক্স ইউ আই) ডিজাইন 

ইউ আই এর সম্পূর্ণরূপ হল ইউজার ইন্টারফেস। বিভিন্ন ওয়েবসাইট অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে একজন ইউজার হিসাবে আমরা যে ইউজার ইন্টারফেসটি ব্যবহার করছি, তা ইউ আই ডিজাইন হিসাবে পরিচিত। কোন অ্যাপ্লিকেশন বা ওয়েবসাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বচক্ষে যে ইন্টারফেস দেখতে পাই সেটা ইউ আই ডিজাইন দ্বারা সম্পন্ন করা হয়।  বর্তমানে আপনি যে মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ এর মাধ্যমে একটি ব্লগ পড়ছেন সে ব্লগটি পড়ার ক্ষেত্রে যে ইন্টারফেস দেখা যাচ্ছে, সে ওয়েবসাইটের ইন্টারফেসটিও ইউ আই / ইউ এক্স ডিজাইন করেছে। একজন ইউজারকে তার ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধির লক্ষ্যে উন্নত পরিষেবা প্রদান করায় এর মূল উদ্দেশ্য।  

অন্য যেকোনো প্রফেশনের তুলনায় একজন ইউআই ইউএস ডিজাইনারের প্রফেশন বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে থাকে। এই সেক্টরে আপনাকে গৎবাঁধা কাজ করতে হয় না, বরং প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে ক্রিয়েটিভিটির মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হয়। এটা শুধুমাত্র একক কোন কাজ নয় বরং প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে নতুন নতুন কাজ তুলে ধরতে হয়। 

ভিয়েতনামের একটি সার্কুলারে দেখা গেছে, একজন দক্ষ ইউ আই/ ইউ এস ডিজাইনারের মাসিক বেতন ১,৫০০ ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় দেড় লক্ষ টাকার বেশি। 

সাইবার সিকিউরিটি (Cyber Security)  

ডিজিটাল জগতে যে-সব কাজ কমান্ডের মাধ্যমে, তথ্যের এবং নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে তাকে সাইবার সিকিউরিটি বলে। হ্যাকিং বা ম্যালওয়্যার অ্যাটাক থেকে বাঁচার জন্য যে-সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সে বিষয়গুলো সাইবার সিকিউরিটির অন্তর্গত। 

হ্যাক বলতে আপনার সিস্টেম থেকে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অন্য কেউ হাতিয়ে নেওয়াকে বুঝানো হয়েছে। সাইবার অ্যাটাক বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। ইন্টারনেটের বিস্তার যত বাড়ছে হ্যাকিংও ততো বেশি হারে বাড়ছে। 

যেভাবে আপনার একাউন্ট হ্যাক হতে পারে-

Attack on Availability : 

হ্যাকার যখন আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করবে তখন সে আপনার অ্যাক্সেস অবরুদ্ধ করে নিজে অনুপ্রবেশ করবে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার ফাইলের ব্যাকআপ না রাখেন তাহলে আর এক্সেস করতে পারবেন না। 

Malware : 

আপনারা অনেক সময় ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটে ভিজিট করেন বা লিংকে প্রবেশ করেন। এগুলোর মাধ্যমে হ্যাকাররা আপনাদের জন্য জাল বিছিয়ে রাখে। আর সামান্য কিছু ভুলের কারণেই আপনারা ধরা খেয়ে যান। ম্যালওয়্যার দিয়ে সাধারণত অনেক হ্যাকাররাই ইন্টারনেটে ব্যবহৃত অ্যাপস বা লিংক দিয়ে তথ্য চুরি করে যাচ্ছে। 

ফিশিং : 

ফিশিং সম্পর্কে আপনারা কম বেশি সকলেই জানেন। যদি এর নাম নাও শুনে থাকেন, তবুও অজান্তেই আপনারা অনেকেই এর কবলে পড়েছেন। আপনারা ব্রাউজারের প্রবেশ করলে অনেক সময় কিছু সাইডে লগইন করতে বলে। এর মধ্যে কিছু সাইট হ্যাকাররা আপনাকে ফাঁদে ফেলার জন্য তৈরি করে। আপনি যদি সেই সাইডে লগইন করেন তাহলে হ্যাকার আপনার পার্সোনাল তথ্যগুলো সহজেই হাতিয়ে নিবে। 

এর পাশাপাশি হ্যাকাররা অনেক সময় বিভিন্ন জি-মেইল অ্যাকাউন্ট দিয়েও কিছু লিংক পাঠায়। হ্যাকারটি যে লিংকটি আপনাকে পাঠিয়েছে লিংকে ভিতর সে ভাইরাস সেট করে দেয়। আর অপেক্ষা করতে থাকে কখন কোন ব্যক্তি তার ফাঁদে পা দিবে। আর সেই লিঙ্কে ঢোকার পরপরই হ্যাকার আপনার সব তথ্য দিয়ে নিবে। এছাড়াও আরো অনেকভাবে হ্যাকিংয়ের কাজ করে থাকে হ্যাকাররা।  

বিভিন্ন পদে অভিজ্ঞতার তারতম্যের পরেও একজন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞের বেতন ৬,৫০০–৮,৫০০ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৬৫ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

একজন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ কোন বড় প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতে পারে। সে যদি চায় ফ্রিল্যান্সিংও করতে পারে। পাশাপাশি সরকারি আইটি সেক্টরেও কাজ করতে পারবে। আধুনিক প্রযুক্তির বিশ্বে যে হারে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে, একই হাড়ে প্রযুক্তির নির্ভরতাও দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এ কারণে একজন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞের কাজের অফারের সম্ভাবনা আগামীতেও রয়েই যাচ্ছে। 

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এন্ড এন্ড মেশিন লার্নিং 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এবং মেশিন লার্নিং আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি অংশ। এটি একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। এই দুই প্রযুক্তি হলো সর্বাধিক ট্রেন্ডিং প্রযুক্তি। কৃত্রিম বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এটি যদিও সম্পর্কিত প্রযুক্তি কিন্তু কখনো কখনো লোকেরা একে অপরের প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। তবে এখনো উভয়ই ভিন্ন ক্ষেত্রে দুটি পৃথক পথ। 

এআই একটি বৃহত্তর ধারণা, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমান মেশিন তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি মানুষের চিন্তা ভাবনা এবং আচরণের অনুকরণ করতে সক্ষম। অন্যদিকে মেশিন লার্নিং এআইয়ের একটি অ্যাপ্লিকেশন বা সাব-সেট, যা মেশিন গুলো-কে স্পষ্ট ভাবে প্রোগ্রাম না করেই সেটা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নেয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কম্পিউটার বিজ্ঞানের এমন একটি ক্ষেত্র, যা কম্পিউটার সিস্টেম তৈরি করে মানুষের বুদ্ধি অনুকরণ করতে সক্ষম। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থায় প্রাক–প্রোগ্রামিং এর প্রয়োজন হয় না। এর পরিবর্তে তারা এক জাতীয় অ্যালগরিদম ব্যবহার করে যা তাদের নিজস্ব বুদ্ধি দিয়ে কাজ করতে সক্ষম। মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদমের রি-ইনফোর্সমেন্ট লার্নিং অ্যালগরিদম এবং গভীর লার্নিং নিউরাল নেটওয়ার্ক জড়িত। আপেলের সিরি, গুগলের বার্ডস, চেটজিবিটি, গুগলের আলফাগো, দাবা খেলা ইত্যাদির মত একাধিক জায়গায় এ আই ব্যবহার হচ্ছে। 

এ আই কে দক্ষতার ভিত্তিতে তিনটি শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে: 

  1. দুর্বল এআই 
  2. জেনারেল এআই 
  3. শক্তিশালী এআই 

মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম কাজ করে, হিস্টিরিকাল ডেটা ব্যবহার করে। এটি কেবলমাত্র নির্দিষ্ট ডোমেনের জন্য কাজ করে। যেমন- আমরা যদি বিড়ালের ছবি শনাক্ত করার জন্য একটি মেশিন লার্নিং মডেল তৈরি করি তবে এটি কেবলমাত্র বিড়ালের ছবিগুলোর জন্য ফলাফল দেবে। কিন্তু আমরা যদি কুকুরের চিত্রের মত একটি নতুন ডেটা সরবরাহ করি তবে এটি প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে যাবে। 

বর্তমানে যে হারে মানুষ এ আই এবং মেশিন লার্নিং ব্যবহার করছে ভবিষ্যতেও এ কাজগুলো আরো বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি এর চাহিদা দিনকে দিন বাড়তেই থাকবে কেননা মানুষ নিজের জীবনকে সহজলভ্য করার জন্য এআই এবং মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি গুলো প্রতিনিয়তই আপডেট করে কাজে লাগাবে। আগামীতে এআই এবং মেশিন লার্নিং মানুষের আধুনিক জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠতে পারে। 

ভিডিও প্রোডাকশন এন্ড এডিটিং 

ভিডিও এডিটিং এমন একটি পেশা যা সৃজনশীলতার পাশাপাশি একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এর সুযোগ প্রদান করে।  এই কাজটিতে রয়েছে খ্যাতি মর্যাদা এবং পরিচিতি। অনেক আনন্দের একটি পেশা হলো ভিডিও এডিটিং। এখানে আপনি আপনার মত ক্রিয়েটিভ কাজ করতে পারবেন। তাছাড়া ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। এই সেক্টরে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞ লোক না থাকায় দেশে এবং বিদেশের ভিডিও এডিটিং প্রফেশনালদের পদ। প্রতিনিয়তই মানুষ নতুন নতুন ভিডিও বা নতুন নতুন জায়গায় ভিডিও করে এটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বা বিভিন্ন সাইডে দেয়াড় জন্য ভিডিওটিকে এডিট করার প্রয়োজনবোধ করে। কিন্তু সকলেই তো এডিট করতে পারে না, এর কারণেই একজন ভিডিও এডিটরের প্রয়োজন হয়। 

একজন ভিডিও এডিটর কোন ভিডিও ফুটেজকে পছন্দ মত এডিট করে একটি গল্পে ফুটিয়ে তোলে। স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এবং কোন বিষয় বাস্তবের মত ফুটে তোলার জন্য ভিডিও অনেক কাজের একটি মাধ্যম। 

একজন ভিডিও এডিটর হতে গেলে আপনাকে এই জিনিসগুলোতে স্কিল ফুল হতে হবে— 

  1. ক্রিয়েটিভ হতে হবে 
  2. ধৈর্যশীল হতে হবে 
  3. এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে হবে 
  4. এডিটিং সিক্রেটস সম্পর্কে জানতে হবে 
  5. স্ক্রিপ্ট সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে 
  6. স্পেশাল ইফেক্ট জানতে হবে 
  7. প্রজেক্ট করতে হবে 
  8. আপটুডেট থাকতে হবে 

ভিডিও এডিটিং একটি গতিশীল ইন্ডাস্ট্রি যা সময়ের সাথে সাথে বেড়েই চলেছে। বর্তমানে youtube ফেসবুক টিক টক জাতীয় সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য মানুষের নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র সূচনা হচ্ছে। ভিডিও এডিটিং শেখার পর জুনিয়র তারপর সিনিয়র এডিটর হওয়া যায়। আপনার পারফরম্যান্সের মান যদি দিনে দিনে উন্নত হতে থাকে তবে খুব সহজেই হেড অফ ভিডিও এডিটর হওয়ার সম্ভবনা বাড়তে থাকবে। 

ভিডিও এডিটিং শিখলে আপনি অনলাইন এবং অফলাইনে প্রচুর কাজের সুযোগ পাবেন। ভিডিও এডিটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যারিয়ার চয়েজ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে আপনার জন্য। 

ডিজিটাল প্রজেক্ট ম্যানেজার 

অনলাইনে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা করতে ডিজিটাল সরঞ্জামগুলির উপর নির্ভর করতে হয়।  এটি একটি প্রকল্পের লাইফ লাইনের সকল পর্যায়কে সমর্থন করে। যেমন- পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ এবং সমাপ্তি। প্রকল্প পরিচালকদের সম্পাদন, বাজেট, বরাদ্দ, সময়সূচি, গুণগত মান এবং যোগাযোগের প্রত্যাবর্তন।  যা ভিডিও কনফারেন্সিংকে প্রকল্পের অগ্রগতির জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ গড়ে তোলে। 

যে যত বেশি দক্ষ হবে এবং বায়ারকে কনভেন্স করার ক্ষমতা যত বেশি হবে সে তত দ্রুত সময়ে এখানে ভালো করতে পারবে। প্রকল্প পরিচালকদের মুখোমুখি অন্যের চ্যালেঞ্জ যা একটি প্রকল্পের অগ্রগতি এবং বৃদ্ধিকে ধীর গতিতে চালাতে পারে। 

প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ভিডিও কনফারেন্সিং সফটওয়্যার আপনার প্রকল্প চালানোর জন্য একটি বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। 

ডিজিটাল প্রজেক্ট ম্যানেজারের ক্যারিয়ার সুউচ্চ। সময়ের সাথে মানুষ যে পরিমাণ প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে তাতে করে আগামী দিনগুলোতেও ডিজিটাল প্রজেক্ট ম্যানেজারের চাহিদা বৃদ্ধির পেতেই থাকবে। এরই সাথে প্রতিটি কোম্পানি বা সংস্থাগুলো তাদের কাজগুলোকে ডিজিটালাইজেশন করার ফলে এর চাহিদা থাকবে অনেক বেশি।  

ই–কমার্স এক্সপার্ট

ই কমার্স এর অর্থ হচ্ছে ইলেকট্রনিক কমার্স বা ইন্টারনেট বাণিজ্য। বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্য ও প্রযুক্তির যুগ, তথা ইন্টারনেট যুগ। ইন্টারনেটের কল্যাণে আমাদের এই বিশ্ব অনেক এগিয়েছে এবং আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ইন্টারনেটের সংস্পর্শে থেকে কোন কিছুই আর বিচ্ছিন্ন নেই। ইন্টারনেট মানুষের সামনে খুলে দিয়েছে একটি মুক্ত ও স্বাধীন পৃথিবী। সবকিছুই মানুষ এখন খুব কাছে থেকে এমনকি ঘরে বসেই করতে পারছে। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে শিক্ষা তথ্য বিনোদন সবকিছু এখন যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে পাওয়া যাচ্ছে। 

যে কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে মার্কেটিং এবং প্ল্যানিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সে ক্ষেত্রে ই-কমার্স টু যথেষ্ট সহায়তা করে থাকে। যেমন-  টার্গেট কাস্টমার, মার্কেট সাইজ, মার্কেট সেগমেন্টেশন, ইউনিক সেলস পয়েন্ট, মার্কেট এক্সপেরিয়েন্স প্ল্যান, কাস্টমার সার্ভিস প্ল্যান, মার্কেটিং এন্ড সেলস প্ল্যান, সোয়াট অ্যানালাইসিস ইত্যাদি। ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টকে সমন্বয় করে কাজ করতে হয়। একজন ই-কমার্স এক্সপার্ট এই সকল বিষয়ে অনেক দক্ষ হয়ে থাকে। সে একটি ব্যবসাকে খুব সহজেই ভালো অবস্থায় নিয়ে যেতে সক্ষম। 

বর্তমানে অনলাইন বিজনেস যে হার বৃদ্ধি পাচ্ছে সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ই-কমার্স এক্সপার্ট এর চাহিদা বাড়তেই থাকবে। আগামীতে একজন ই-কমার্স এক্সপার্ট বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করতে পারবে। সে চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে, কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতে পারবে, নিজেই অনলাইন বিজনেস করতে পারবে। আগামীতে একজন ই-কমার্স এক্সপার্টের ডিমান্ড থাকবে অনেক বেশি। 

কনটেন্ট ক্রিয়েশন এন্ড কপিরাইটিং  

কপি-রাইটিং মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ এবং জটিল একটি বিষয়। মূল বিষয়টি হচ্ছে কাউকে কিছু বুঝিয়ে কোন জিনিস কিনে নেওয়ার মতো একটা ব্যাপার। বাস্তব জীবনে আমরা আমাদের চারপাশে এই ধরনের ঘটনা সচরাচর দেখতে পাই। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, আমাদের বন্ধুদের থেকে কোন জিনিসের সুনাম শুনে ঐ পণ্য কিনে নেওয়ার মতো। 

কপি-রাইটিং ছাড়া কোন ব্যবসায়ী তার ব্যবসার কোন মেসেজ পাঠাতে পারবেনা তার কাস্টমারদের কাছে। যেমন- তেমন মেসেজ পাঠালে সম্ভাব্য ক্রেতারা আকৃষ্ট হবে না, তার ব্যবসার প্রতি। তাই সকল বিজনেস ইন্ডাস্ট্রিজতে কপি-রাইটাদের প্রয়োজন হয়। অন্তত পক্ষে, আকর্ষণীয় করে মেসেজ পাঠানোর জন্য হলেও কপিরাইটারদের প্রয়োজন হয়। 

একজন কপিরাইটের হতে হলে ইংরেজি, অ্যাডভার্টাইজিং, মার্কেটিং  অথবা জার্নালিজম বিষয় ব্যাচেলার ডিগ্রি থাকতে হবে। বর্তমান সময়ের ফ্রিল্যান্সারদের অনেক চাহিদা থাকায় অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকে। 

একজন কপিরাইটার প্রতিমাসে ৩৫০০ ডলার থেকে ৭৩০০ ডলারের মত আয় করে থাকেন। এটি ২০১৯ সালের পে-স্কেল ডটকম ওয়েবসাইটের জরিপ থেকে জানা যায়। 

একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি উপরিউক্ত স্কিলগুলো শিখে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। ভবিষ্যতে এই কাজগুলোর চাহিদা এবং এর পারিশ্রমিক বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। তাই আপনি চাইলে এই স্কিলগুলোর যেকোনো একটি শিখে কাজ করতে পারেন।

আরো দেখুন – বাঙালিদের রান্নায় পেঁয়াজ কেন এত জনপ্রিয়

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Elliana Murray on ONLINE SHOPPING
Discover phone number owner on Fake app চেনার উপায়