বিশ্ববাজারে মটোরোলা স্মার্টফোনের অনেক সুখ্যাতি রয়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকায় এই কোম্পানিটির ফোনগুলো পরিচিত হলেও বাংলাদেশে এর উল্টো চিত্র দেখা যায়।
মটোরোলার ফোনগুলো ডিজাইনের দিক থেকে অন্য স্মার্টফোনের চেয়ে ভিন্ন হয়। তাদের বিভিন্ন দামের ফোন এখন বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে।
ডিজাইন ও ডিসপ্লে:
প্রথমেই ডিজাইনের বিষয়টি সামনে আসে, ফোনটির পিছনে অংশে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে, তবে এটি প্রিমিয়াম লাগে। সামনে 6.6 ইঞ্চের IPS LCD ডিসপ্লে রয়েছে, যা 120Hz রিফ্রেশ রেট ও ৭২০ x ১৬১২ রেজুলিউশন সাপোর্ট করে। ডিসপ্লেটি সুন্দর, উজ্জ্বল এবং স্পষ্ট।
প্রসেসর:
হ্যান্ডসেটটিতে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে Qualcomm SM 4375 স্ন্যাপড্রাগণ 4 জেন 1 (6 এনএম) আর্কিটেকচারের তৈরি। অক্টাকোর (2×2.0 GHz Cortex-A78 & 6×1.8 GHz Cortex-A55) দিয়েছে, এবং জিপিইউ হিসাবে Adreno 619 ব্যবহার করা হয়েছে ।
স্টোরেজ ও র্যাম:
বাংলাদেশের বাজারে ৪ জিবি র্যাম ১২৮ জিবি রমের এই ভেরিয়েন্টটি পাওয়া যাচ্ছে। তবে হ্যান্ডসেটটিতে External মেমরি ব্যাবহার করার সুযোগ রয়েছে।
ক্যামেরা:
তিনটি ক্যামেরার কম্বিনেশনে ভালো ছবি তুলতে পারে এ স্মার্ট ফোন। ৫০ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা যার অ্যাপাচার f/১.৮ (wide), ০.৬৪µm, PDAF। আর ২ মেগাপিক্সেল, f/২.৪, macro ক্যামেরা। এই দুই মেগাপিক্সেল খুব একটা কাজের না হলেও দিতে হয় তাই দেয়। সেলফি ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেল ( f/২.০, wide)। ছবির গুণমান সাধারণত দিনের আলোতে ভালো হয়। তবে রাতের বেলায় ছবিগুলো একটু গোলমেলে হতে পারে। পিছনের ক্যামেরা দিয়ে সর্বোচ্চ 1080pতে 30fps তে video করতে পারবেন।
পারফরম্যান্স:
Motorola Moto G (2024) ফোনটিতে Qualcomm এসএম ৪৩৭৫ স্ন্যাপড্রাগণ ৪ জেন ১ প্রসেসর দ্বারা চালিত। এই প্রসেসরটি দৈনন্দিন কাজের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। ফোনটি 4GB RAM এবং 128GB স্টোরেজ- সহ বিভিন্ন কনফিগারেশনে পাওয়া যায়।
ব্যাটারি:
5000mAh ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে এবং সাথে পাবেন ১৮ ওয়াটের চার্জার। এই ব্যাটারিটি একটি পূর্ণ চার্জে সারা দিন সহজেই চলতে পারে। ফাস্ট চার্জিং সমর্থন করে, যা দ্রুত চার্জ দেওয়ার কাজে আসে।
অন্যান্য ফিচার:
এতে আছে একটি সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, একটি 3.5mm হেডফোন জ্যাক, USB Type-C 2.0 এবং একটি ইনফ্রারেড ব্লাস্টার সহ বিভিন্ন ফিচার অফার করে।
স্পেসিফিকেশন:
মডেল | Motorola Moto G (2024) |
উন্মোচিত | ১২, মার্চ ২০২৪ |
সর্বশেষ সংষ্করণ | ২১, মার্চ ২০২৪ |
নেটওয়ার্ক | GSM / HSPA / LTE / 2G, 3G, 4G, 5G |
প্রযুক্তি | HSPA, LTE, 5G |
আকার | ১৬৪.৪ x ৭৫ x ৮.২ মিমি (৬.৪৭ x ২.৯৫ x ০.৩২ ইঞ্চি) |
ওজন | ১৯৪ গ্রাম (৬.৮৪ oz) |
সিম | Nano-SIM, eSIM |
ডিসপ্লে | ধরণ: IPS LCD, 120Hz,OS মাপ: ৬.৬ ইঞ্চি, ১০৪.৬ সেমি২ (~84.9% screen-to-body ratio)রেজুলেশন: ৭২০ x ১৬১২ পিক্সেল, ২০:৯ অনুপাত (~২৬৭ ppi ঘনত্ব) |
অপারেটিং সিস্টেম | অপারেটিং সফটওয়ার: Android 14 চিপসেট: Qualcomm এসএম ৪৩৭৫ স্ন্যাপড্রাগণ ৪ জেন ১ (৬ এনএম) প্রসেসর: অক্টাকোর(2×2.0 GHz Cortex-A78 & 6×1.8 GHz Cortex-A55) জিপিইউ: Adreno 619 |
মেমরি | কার্ড স্লট: microSDXC (dedicated slot)অভ্যন্তরিন: ১২৮ জিবি (eMMC 5.1) |
সিকিউরিটি সিস্টেম | Fingerprint, Face Unlock |
র্যাম | ৪ জিবি |
রেডিও | না |
ক্যামেরা | পিছনে: ৫০ মেগাপিক্সেল, f/১.৮, (wide), ০.৬৪µm, PDAF ২ মেগাপিক্সেল, f/২.৪, (macro)ফিচার: LED flash, HDR, panorama ভিডিও: ১০৮০p@৩০fpsসেলফি: ৮ মেগাপিক্সেল, f/২.০, (wide), ১/৪”, ১.১২µm ভিডিও: ১০৮০p@৩০fps ফিচার: HDR |
ব্যাটারি | ৫০০০ এমএএইচ, ফাস্ট চার্জিং ১৮ ওয়াট, Non-removable Li-Po |
সাউন্ড | লাউড স্পিকার: ‘‘হ্যাঁ’’ স্টেরিও স্পিকার সহ৩.৫ মিমি জ্যাক ‘হ্যাঁ’ |
নির্মাণ | Glass front, plastic frame, plastic back |
অন্যান্য | Wi-Fi 802.11 a/b/g/n/ac, ডুয়েল ব্যান্ড, ব্লুটুথ 5.1, A2DP, LE, জিপিএস, GLONASS, GALILEO, বিডিএস, ইউ এস বি টাইপ-সি ২.০ সেন্সর : Fingerprint (side-mounted), accelerometer, gyro, proximity, compass, barometer |
মূল্য | ৳২২,০০০ |
প্রস্তুতকারক | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
কালার | Sage Green |
ভালো দিক:
- এই বাজেটে দুর্দান্ত একটি ফোন।
- Qualcomm এসএম ৪৩৭৫ স্ন্যাপড্রাগণ ৪ জেন ১ প্রসেসরের জন্য ফোনটি ভালো পারফরম্যান্স দেবে।
- লিথিয়াম পলিমারের 5000 mah ব্যাটারি দেওয়াতে চার্জের চিন্তা নেই।
দূর্বল দিক:
- প্রাইসের তুলনায় র্যাম কম।
- ১৮ ওয়াটের চার্জারের কারণে ফোনটি চার্জ হতে দীর্ঘ সময় লাগবে।
- রেজুলেশন কম অন্য ফোনের তুলনায়।
- এখন সিদ্ধান্ত আপনার।
- আরও দেখুন
- ১১ হাজারেই সবকিছু পাবেন Infinix Smart 6 Plus-এ