নোকিয়া ফোন সম্পর্কে জানেনা এমন মানুষ নিহায়েত খুব কমই আছে। নোকিয়ার ফোনগুলো দীর্ঘায়ুর জন্য বেশ জনপ্রিয়, এর পাশাপাশি তাদের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার জন্যও সুপরিচিত। একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় এই হ্যান্ডসেট নির্মাতা আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলাতে না পারায় মার্কেট থেকে প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল। তবে তারা ধীরে ধীরে আবার ফিরে আসতে শুরু করেছে এন্ড্রয়েডের হাত ধরে।
নতুন ৫জি প্রযুক্তি নিয়েও নোকিয়া এগিয়েছে বেশ খানিকটা। শুধুমাত্র নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম তৈরির ক্ষেত্রেই না, মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রযুক্তিতেও কম যায় না। সে কারণেই বাজারে টিকে থাকার জন্য স্বল্প মূল্যে ও সেরা কনফিগারেশনে ৫জি সেট আনছে নোকিয়া।
আজ আমরা নকিয়া G310 সম্পর্কে জানব।
ডিজাইন ও ডিসপ্লে:
ফোনটিতে ৬.৫৬ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ক্যাপাসিটি টাচ স্ক্রিন ব্যবহার করা করেছে। যা ১৬ মিলিয়ন কালার ধারণ করতে সক্ষম এবং এর রেজুলেশন ৭২০ x ১৬১২ পিক্সেল।
প্রসেসর:
Nokia G310 ফোনটিতে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করেছে Qualcomm SM4350-AC Snapdragon 480+ 5G যা 8 nm আর্কিটেকচারের তৈরি। অক্টাকোর (2×2.2 GHz Kryo 460 & 6×1.8 GHz Kryo 460) এবং জিপিইউ হিসাবে Adreno 619 ব্যবহার করা হয়েছে।
স্টোরেজ ও র্যাম:
৪ (চার) জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রোম পাচ্ছেন ফোনটিতে। ১২৮ জিবি রমের/ ফোন মেমরির পাশাপাশি এক্সটার্নাল মেমোরিও ব্যবহার করতে পারবেন।
ক্যামেরা:
তিনটি ক্যামেরার কম্বিনেশনে ভালো ছবি তুলতে পারে Nokia G310 স্মার্টফোনটি দিয়ে। ফিচার ফোনের দুই মেগাপিক্সেল ক্যামেরা তেই নোকিয়া ছিল অনন্য। সেই ধারাবাহিকতায় এখনকার স্মার্টফোনগুলোতে ক্যামেরার মান বেশ উন্নত হয়েছে। এতে যুক্ত হয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল, f/২.৪, macro এবং ২ মেগাপিক্সেল, f/২.৪, depth ক্যামেরা। সেলফি ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেল। ছবির গুণমান সাধারণত দিনের আলোতে ভালো হয়। পিছনের ক্যামেরা দিয়ে সর্বোচ্চ 1080pতে 30fps তে video করতে পারবেন।
ব্যাটারি:
৫০০০ এমএএউচ এর লিথিয়াম পলিমারের ব্যাটারির কারণে দিনভর কাজ করতে পারবেন। চার্জার হিসেবে পাচ্ছেন ২০ watt এর ফাস্ট চার্জার।
পারফরম্যান্স:
Qualcomm SM4350-AC Snapdragon 480+ 5G 8 nm এর প্রসেসরের কারণে ফোনটির পারফরম্যান্স ভালো হবে। ফোনটি দিয়ে মোটামুটি মানের গেম খেলতে পারবেন। এর পাশাপাশি ৫০০০ এমএএইচ লিথিয়াম পোলিমার ব্যাটারির ফলে ফোনটি দীর্ঘ সময় চালাতে সাহায্য করবে।
স্পেসিফিকেশন:
মডেল | Nokia G310 |
উন্মোচিত | ১৬ আগস্ট, ২০২৩ |
সর্বশেষ সংস্করণ | ২৪ আগস্ট, ২০২৩ |
নেটওয়ার্ক | 2G, 3G, 4G, 5G |
প্রযুক্তি | GSM / HSPA / LTE / 5G |
আকার | ১৬৫.১ x ৭৫.৭ x ৮.৬ মি.মি (৬.৫ x ২.৯৮ x ০.৩৪ ইঞ্চি) |
গতি | HSPA 42.2/5.76 Mbps, LTE, 5G |
সিম | Dual SIM (Nano-SIM, dual stand-by) |
ওজন | ১৯৫.১ গ্রাম (৬.৮৮ oz) |
সুরক্ষা | Corning Gorilla Glass 3 |
ডিসপ্লে | ধরণ: IPS LCD ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন, ১৬ মিলিয়ন কালার মাপ: ৬.৫৬ ইঞ্চি, ১০৩.৪ সিএম২ (~82.7% screen-to-body ratio) রেজুলেশন: ৭২০ x ১৬১২ পিক্সেল, ২০:৯ অনুপাত (~২৬৯ ppi ঘনত্ব) |
অপারেটিং সিস্টেম | অপারেটিং সফটওয়্যার: Android 13 চিপসেট: Qualcomm SM4350-AC Snapdragon 480+ 5G (8 nm)প্রসেসর: অক্টাকোর (2×2.2 GHz Kryo 460 & 6×1.8 GHz Kryo 460)জিপিইউ: Adreno 619 |
মেমরি | কার্ড স্লট: microSDXC (dedicated slot)অভ্যন্তরীণ: ১২৮ জিবি |
সিকিউরিটি সিস্টেম | Fingerprint, Face Unlock |
র্যাম | ৪ (চার) জিবি |
রেডিও | না |
ক্যামেরা | পিছনে: ৫০ মেগাপিক্সেল, (wide), AF, ২ মেগাপিক্সেল, f/২.৪, (macro) ২ মেগাপিক্সেল, f/২.৪, (depth)ফিচার: LED flash, ভিডিও: ১০৮০p@৩০fpsসেলফি: ৮ মেগাপিক্সেল, (wide) ভিডিও: ১০৮০p@৩০fpsফিচার: HDR, panorama |
ব্যাটারি | ৫০০০ এমএএইচ, ফাস্ট চার্জিং ২০ ওয়াট, PD, QC, Non-removable Li-Po |
সাউন্ড | লাউড স্পিকার: ‘‘হ্যাঁ’’ ৩.৫ মিমি জ্যাক ‘হ্যাঁ’ |
নির্মাণ | Dust and splash resistant, QuickFix user-reparable design |
অন্যান্য | Wi-Fi 802.11 b/g/n/ac, GPS (L1+L5), Bluetooth 5.1, A2DP, LE, USB Type-C 2.০, OTG |
সেন্সর | Fingerprint (side-mounted), accelerometer, proximity |
মূল্য | ৳ ২২,০০০ |
প্রস্তুতকারক | ফিনল্যান্ড |
কালার | নীল |
ভালো দিক:
- এই বাজেটে দুর্দান্ত ৫জি ফোন।
- ১২৮ জিবি স্টোরেজের কারণে ছবি, ভিডিও ধারণ করতে কোন টেনশন থাকবে না।
- ৫০০০ এমএএইচ এর লিথিয়াম পলিমারের ব্যাটারি জন্য চার্জের চিন্তা নেই।
- ২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জারের জন্য ফোনটি চার্জ হতে সময় কম লাগবে।
দুর্বল দিক:
- এলসিডি টাচ প্যানেলের ফলে ডিসপ্লের পারফরম্যান্স কিছুটা কম হতে পারে।
- রেজুলেশন কম অন্য ফোনের তুলনায়।