বাটন ফোন থেকে নকিয়ার উত্থান হলেও ধীরে ধীরে স্মার্টফোনে তাদের জায়গা করে নিচ্ছে। Nokia শুধুমাত্র নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম তৈরির ক্ষেত্রেই না, মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রযুক্তিতেও কম যায় না। সে কারণেই বাজারে টিকে থাকার জন্য স্বল্প মূল্যে ও সেরা কনফিগারেশনে ৫জি সেট আনছে নোকিয়া।
আজ জানবো নকিয়া Nokia C32 সম্পর্কে।
ডিজাইন ও ডিসপ্লে:
ফোনটিতে ৬.৫৬ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ক্যাপাসিটি টাচ স্ক্রিন ব্যবহার করা করেছে। যা ১৬ মিলিয়ন কালার ধারণ করতে সক্ষম এবং রেজুলেশন ৭২০ x ১৬১২ পিক্সেল।
প্রসেসর:
Nokia C32 ফোনে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে Unisoc SC9863A 28 NM আর্কিটেকচারের তৈরি। অক্টাকোর প্রসেসর (4×1.6 GHz Cortex-A55 & 4×1.2 GHz Cortex-A55) এবং জিপিইউ হিসাবে IMG8322 ব্যবহার করা হয়েছে।
স্টোরেজ ও র্যাম:
৪ (চার) জিবি RAM ও ৬৪ জিবি ROM পাচ্ছেন ফোনটিতে। ৬৪ জিবি রমের/ ফোন মেমরির পাশাপাশি এক্সটার্নাল মেমোরিও ব্যবহার করতে পারবেন।
ক্যামেরা:
দুইটি ক্যামেরার কম্বিনেশনে ভালো ছবি তুলতে পারে Nokia C32 স্মার্টফোনটি দিয়ে। দুই মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ফিচার ফোনেই নোকিয়া ছিল অনন্য। সেই ধারাবাহিকতায় এখনকার স্মার্টফোনগুলোতে ক্যামেরার মান বেশ উন্নত হয়েছে। এতে যুক্ত হয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রধান ও ২ মেগাপিক্সেল Macro ক্যামেরা। সেলফি ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেল। ছবির গুণমান সাধারণত দিনের আলোতে ভালো হয়। পিছনের ক্যামেরা দিয়ে 1080pতে 30fps তে video করতে পারবেন।
ব্যাটারি:
Nokia C32 ফোনটিতে ৫০০০ এমএএইচ এর লিথিয়াম পলিমারের ব্যাটারির জন্য দীর্ঘ সময় কাজ করতে পারবেন। এর পাশাপাশি চার্জার হিসেবে পাচ্ছেন ১০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার।
পারফরম্যান্স:
Unisoc SC9863A এই প্রসেসরের কারণে ফোনটির পারফরম্যান্স মোটা মুটি। ফোনটি দিয়ে সাধারণ মানের গেম খেলতে পারবেন। ৫০০০ এমএএইচ লিথিয়াম পোলিমার ব্যাটারির ফলে ফোনটি দীর্ঘ সময় চালাতে পারবেন।
স্পেসিফিকেশন:
মডেল | Nokia C32 |
উন্মোচিত | ২৫, ফেব্রুয়ারি ২০২৩ |
সর্বশেষ সংস্করণ | ৪, ফেব্রুয়ারি ২০২৪ |
নেটওয়ার্ক | 2G, 3G, 4G |
প্রযুক্তি | GSM / HSPA / LTE |
আকার | ১৬৪.৬ x ৭৫.৯ x ৮.৬ মি.মি (৬.৪৮ x ২.৯৯ x ০.৩৪ ইঞ্চি) |
প্রযুক্তি | HSPA, LTE |
সিম | Single SIM or Dual SIM (Nano-SIM, dual stand-by) |
ওজন | ১৯৯.৪ গ্রাম |
ডিসপ্লে | ধরণ: আইপিএস এলসিডি Capacitive touchscreen, ১৬ মিলিয়ন কালার মাপ: ৬.৫ ইঞ্চি, ১০২.০ সিএম২ (~87.0% screen-to-body ratio) রেজুলেশন: ৭২০ x ১৬০০ পিক্সেল, ২০:৯ অনুপাত (~২৭০ ppi ঘনত্ব) |
অপারেটিং সিস্টেম | অপারেটিং সফটওয়্যার: Android 13 (Go edition) চিপসেট: Unisoc SC9863A (28 mn) প্রসেসর: অক্টাকোর (4×1.6 GHz Cortex-A55 & 4×1.2 GHz Cortex-A55) জিপিইউ: IMG8322 |
মেমরি | কার্ড স্লট: microSDXC (dedicated slot) অভ্যন্তরীণ: ৬৪ জিবি |
সিকিউরিটি সিস্টেম | Fingerprint, Face Unlock |
র্যাম | ৪ (চার) জিবি |
রেডিও | এফএম |
ক্যামেরা | পিছনে: ৫০ মেগাপিক্সেল (wide), AF, ২ মেগাপিক্সেল (macro) ফিচার: LED flash, HDR ভিডিও: ১০৮০p@৩০fps সেলফি: ৮ মেগাপিক্সেল ভিডিও: হ্যাঁ |
ব্যাটারি | ৫০০০ এমএএইচ, ফাস্ট চার্জিং ১০ ওয়াট, Non-removable Li-Po |
সাউন্ড | লাউড স্পিকার, ৩.৫ মিমি জ্যাক |
নির্মাণ | Glass front, plastic back, plastic frame |
অন্যান্য | Wi-Fi 802.11 b/g/n, Bluetooth 5.2, A2DP, GPS, USB Type-C 2.0 |
সেন্সর | Fingerprint (rear-mounted), accelerometer, proximity |
মূল্য | ৳১৩,৪৯৯ |
প্রস্তুতকারক | ফিনল্যান্ড |
কালার | Charcoal, Autumn Green, Beach Pink |
ভালো দিক:
- এই বাজেটে দুর্দান্ত ৪ জি ফোন।
- ৬.৫ ইঞ্চি আইপিএস এলসিডি স্ক্রিন।
- শক্তিশালী 5000mAh ব্যাটারি।
দুর্বল দিক:
- 5G নেটওয়ার্ক সাপোর্ট নেই
- রেজুলেশন কম অন্য ফোনের তুলনায়
- Unisoc SC9863A চিপসেটের জন্য তুলনামূলক পারফরম্যান্স কম পাওয়া যায়