fbpx
Sunday, September 8, 2024
spot_imgspot_img
HomeEntertainmentExpensive foods: খাবারগুলো খেতে গুনতে হবে অন্তত লাখ টাকা!

Expensive foods: খাবারগুলো খেতে গুনতে হবে অন্তত লাখ টাকা!

আপনি কী জানেন পৃথিবীতে এমন কিছু খাবার আছে যেটি খাওয়ার সাধ্য সবার হবেনা! বলা যায় Most expensive foods in the world.

খাদ্য মানুষের বেঁচে থাকার অন্যতম মৌলিক চাহিদা। তবে ভোজনরসিকদের কাছে খাদ্য হল জীবনের ভালবাসা। আপনি যদি একজন ভোজনরসিক হন, তাহলে কী আপনি এমন কোনো খাবার খেতে প্রস্তুত আছেন, যার জন্য আপনাকে ১ হাজার ডলার বা ১ লাখ টাকারও বেশি। তাহলে জেনে নেই  বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল খাবারগুলোর সম্পর্কে। 

এটুকু বলাই যায় যে আপনি কোটিপতি হলেই শুধুমাত্র এসব খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন।

৫. ওয়াগু গরুর মাংস (Wagyu beef)

ওয়াগু বিফ বিশ্বের ব্যয়বহুল খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম। জাপানি ভাষায়, ‘ওয়া’ মানে হলো জাপান এবং ‘গিউ’ হলো গরু অর্থ হলো জাপানের গরু।

মাংসের পরতে পরতে ফ্যাট, নরম ও তুলতুলে মাংস এবং স্বাদের জন্য এটি সারাবিশ্বে খুবই সমাদৃত একটি খাবার।

এর পরতে পরতে চর্বি থাকে এবং নরম তুলতুলে মাংস হয় বলে খেতেও বেশ সুস্বাদু। জাপানের চারটি ভিন্ন প্রজাতির গরু থেকে এ মাংস পাওয়া যায়।

ওয়াগু গরুর মাংসের দাম এত বেশি হওয়ার কারণ, এসব গরু প্রতিপালনে খরচ অনেক বেশি হয়। সব গরুর মাংস ওয়াগু হিসেবে গণ্য হয় না। তাজিমা প্রজাতির গরু যা জাপানের কোবে, মাতসুকা এবং ওহমি অঞ্চলে বিশেষ যত্নে পালন করা হয়।  অবশ্য সারা বিশ্বে এই মাংস কে ‘কোবে বিফ’ নামে ডাকা হয়।

প্রচুর নিয়মকানুন মেনে এই গরুগুলোকে লালনপালন করতে হয়। পেশির পরতে পরতে চর্বি জমা হওয়ার জন্য বাছুর অবস্থা থেকেই এদেরকে বিশেষ ধরনের খাবার খাওয়ানো হয়।

আপনাকে ‘কোবে বিফের’ স্বাদ নিতে হলে প্রতি কেজি ৬৪০ ডলার গুনতে হবে। যা বর্তমানে বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ৭০,৪৬২ টাকা।

৪. মুজ পনির (Moose cheese)

দুগ্ধজাত পণ্যের মধ্যে পনিরের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তবে এক ধরনের হরিণের দুধ থেকে তৈরি মুজ পনির বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পনির। সুইডেনে গেলে এই পনিরের স্বাদ নিতে পারবেন। শুধুমাত্র এই দেশেই মুজ পনির তৈরি ও বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজি মুজ পনিরের দাম প্রায় ১ হাজার মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। যা বর্তমানে বাংলাদেশি টাকায় ১১০,০৯৭ টাকা (আনুমানিক)।

৩. সাদা ট্রাফলস (White truffles)

সাদা ট্রাফলস বিরল প্রজাতির তীব্র সুগন্ধযুক্ত এক ধরনের ভূগর্ভস্থ ছত্রাক। ইউরোপের ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, উত্তর আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চল ও অস্ট্রেলিয়ার নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের বনাঞ্চলে বসন্তকাল ও বর্ষাকালে এই ছত্রাক জন্মায়। বর্তমানে বিশ্বে ব্ল্যাক এবং হোয়াইট এই দুই ধরনের ট্রাফল পাওয়া যায়। এই ট্রাফল দুটো দামি খাবার হলেও এর স্বাদে আছে বেশ ভিন্নতা।

এটি রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে হয় না। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় প্রায় ১০ দিন পর্যন্ত খাদ্য-উপযোগী থাকে। এক পাউন্ড হোয়াইট ট্রাফলের দাম সাধারণত ৩ হাজার মার্কিন ডলার হয়। যা বর্তমানে বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ৩৩০,২৯১ টাকা।

সাধারণত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর বা শূকর দিয়ে বনে মাটি খুঁড়ে ট্রাফল খোঁজা হয়।

২. পাখির বাসার স্যুপ (Swiftlet Bird’s Nest Soup)

সুইফটলেট পাখি লালা দিয়ে তার বাসা তৈরি করে। এই পাখির বাসা থেকে এক ব্যতিক্রমী স্যুপ তৈরি করে চীনা রন্ধনশিল্পীরা যা Bird’s Nest Soup নামে পরিচিত। এটি পৃথিবীর অন্যতম ব্যয়বহুল খাবারগুলোর একটি। চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমারে এই স্যুপের ভীষণ কদর আছে। 

ভোজন রসিকদের কাছে জনপ্রিয় এই স্যুপটি লাল, হলুদ ও সাদা তিনটি ভিন্ন রঙে পরিবেশন করা হয়। এর মধ্যে লাল রঙের বার্ড নেস্ট স্যুপের দাম সবচেয়ে বেশি। এরকম এক বাটি স্যুপের দাম ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত হয়। যা বর্তমানে বাংলাদেশি টাকায় ১১,০০,৯৭০ (আনুমানিক) টাকা।

১. আলবিনো ক্যাভিয়ার (Albino caviar)

ব্যয়বহুল খাবারের তালিকার শুরুর দিকেই থাকবে আলবিনো ক্যাভিয়ার। এটি এক ধরনের সামুদ্রিক মাছের ডিম। বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারের মধ্যেও ক্যাভিয়ারের নামও রয়েছে। বেলুগা স্টার্জেন মাছ থেকে সবচেয়ে সুস্বাদু ক্যাভিয়ার পাওয়া যায়। এই মাছটির ডিম সংগ্রহ করা খুব দুরূহ এবং মাছটি বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। এই মাছটি শুধুমাত্র কৃষ্ণ সাগর ও কাস্পিয়ান সাগরেই পাওয়া যায়। তাছাড়া একটি বেলুগা স্টার্জেন পূর্ণবয়স্ক হতে প্রায় ২০ বছর পর্যন্ত সময় নেয়। এরপরই মাছটিকে হত্যা করে এর ডিম সংগ্রহ করা হয়।

এটি হলো বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্যাভিয়ার, বিপন্ন প্রায় ইরানি আলবিনো বেলুগা স্টার্জেন মাছ থেকে সংগৃহীত হয়। এক কেজি অ্যালবিনো ক্যাভিয়ারের সর্বোচ্চ দাম সাড়ে ৩৪ হাজার ডলার পর্যন্ত উঠেছিল। যা বর্তমানে বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ৩৭,৪৩,২৯৮ টাকা। এই জন্য এটি গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এ স্থান পায়।

বিশ্বের ক্যাভিয়ার উৎপাদনের চীন সবার উপরে শতকরা ৩৫ শতাংশ।

আপনি কী এই খাবারগুলোর স্বাদ নিতে চাচ্ছেন? 

এই খাবারগুলো বিশ্বের সব নামি-দামি রেস্টুরেন্ট এ পাওয়া যায়। 

নোট: এখানে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মার্চ, ২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময় হারে

Read More

RELATED ARTICLES

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Elliana Murray on ONLINE SHOPPING
Discover phone number owner on Fake app চেনার উপায়